রাজধানীর মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে জোর করে গাড়িতে তুলে তরুণীকে ধর্ষণের সময় দুইজনকে হাতেনাতে ধরে পিটুনি দিয়েছে জনতা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। এই রোজায় রাজধানীতে প্রকাশ্যে দেখা গেল অনৈতিক ধর্ষণের মত ঘটনা। রাজপথ থেকে জোরকরে তুলে নিয়ে ধর্ষণের মত ঘটনা ভয়াবহ সমাজ ধ্বংসের আলামত।
শনিবার রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি অফিস থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে তার সামনে থাকা গাড়িতে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি গাড়িটিকে অনুসরণ করেন। জ্যামের কারণে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন রাফি।
গাড়ির ভেতরের ধস্তাধস্তি রাফি আহমেদসহ রাস্তায় থাকা আরও অনেকের নজরে আসে। রাফি আহমেদ তার পোস্টে দাবি করেন, গাড়িটি জ্যামে আটকা পড়লে তিনিসহ সাধারণ মানুষ গাড়িটির সামনে গিয়ে দেখেন ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো – গ ২৯- ৫৪১৪’। মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছিল বলে মেয়েটির বরাত দিয়ে দাবি করেন রাফি আহমেদ।
ভিডিওতে দেখা যায়, জনতা ওই ব্যক্তি ও তার গাড়ির চালককে বাইরে বের করে পিটুনি দিচ্ছে। এক পর্যায়ে ‘ধর্ষণকারী’ ও গাড়ির চালক উভয়কেই নগ্ন করে রাস্তায় মারধর করতে দেখা যায়।
এদিকে পিটুনি খাওয়া ব্যক্তির নাম রনি হক বলে জানা গেছে। ফেসবুকে রনি হক তার আইডিতে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই প্রাইভেট কারসহ একটি ছবি পোস্ট করেন। সে ছবিতে থাকা প্রাইভেট কারের নম্বরের সঙ্গে ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর মিলে গেছে।